আমার পথেই চলো
-মৌসুমী সাহা মহালানাবীশ
চারদেওয়ালের বন্দী ঘরে উথালপাতাল ঝড়,
নারী! কি তুই সারাজীবন রয়েই যাবি পর ?
বাপের আঙিনা ছেড়ে নারী শ্বশুরবাড়ি আসে,
নতুন করে বাবা-মা থাকবে বুঝি পাশে!!
অবহেলায় ছিন্ন হয় স্বপ্ন যাহা দেখে!
মায়ের মতন ভালোবাসায় আর কে বেঁধে রাখে।
ওরে নারী অশ্রুবারি আঁচল দিয়ে মুছিস!
সবাইকে লুকিয়ে কি সুখ তুই খুঁজিস ?
নারীর মন বুঝিসনি তো,বুঝবে নাকো কেউ!!
চারদেওয়ালের বন্দি ঘরে উথালপাতাল ঢেউ।।
স্বামী যদি থাকে পাশে মুখটি টিপে হাসে,
তুকতাক আর বশ করেছে বলবে অনায়েসে!!
ছেলে আমার কুলাঙ্গার বউকে মাথায় রাখে!
জামাই আমার বড্ড ভালো শির নামিয়ে থাকে!!
আমার মেয়ে ”লক্ষ্মী” ভারি গুনেও সে শ্রেষ্ঠা!
ছেলের বুকে দাপিয়ে বেরায় বউ যে আমার ”নষ্টা”!!
বউয়ের আমার খরচ বেজায় মুখে মাখে ”ব্যসন”!
মেয়ে আমার ”প্রডাক্টস” মাখে অল্পস্বল্প রকম!!
ছিঃ! ছিঃ!
বউ আমার ”জ্যাগিন্স” পরে ফিটিংফাটিং ড্রেস!
মেয়ে আমার হাঁটুর ওপর ”হটপ্যান্ট” পরে বেশ!!
মেয়ে আমার ”আদর” করে বরকে ডাকে মনা!
বউ আবার ”ন্যাকামি মেরে” ছেলেকে ডাকে সোনা!!
নারীরে তোর এতো রূপে ছন্দ ভেসে আসে,
যখন নারী প্রতিবাদী,হিংস্র অনায়াসে!!
ব্যথিত হৃদয় কান্না ভুলে,
গর্জে ওঠ তুই ”কলম” তুলে!
বুকের রক্ত কালি করে,
লিখে যা তুই বেদনা ভুলে!!
”মলম”হয়ে দাঁড়াবে সেদিন,
সেই কালিরই অক্ষর!
আঙুল তুলে বলবে না কেউ—
”নারী তুই নিরক্ষর”!!
প্রাপ্য সম্মান সেদিন পাবি,যেদিন হবি ”কবি”!
আলোর ছটাক দেবে এসে নতুন করে রবি!!
উদিত হবে বুকের ভেতর কালিমা মুছে ফেলে!
দু-নয়নে স্বপ্ন মাখো,আশার প্রদীপ জ্বেলে!!
চারদেওয়ালের বন্দী ঘরের দরজা এবার ভাঙ্গো!
আমার পথেই চলো নারী,
”আমার পথেই চলো”